Description
● সংকলক ও অনুবাদক : উস্তায আব্দুল্লাহ মাহমুদ
● সম্পাদক : আব্দুল্লাহ ফারুক সালাফী, শহীদুল্লাহ খান মাদানী হাফিযাহুমুল্লাহ্
● কভার: হার্ডকভার (আর্টিফিশিয়াল লেদার)
● সাইজ : রয়েল সাইজ
● কাগজের ধরণ: ৭০ গ্রাম (ক্রিম কালার)
● পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৩৮৪ পৃষ্ঠা
● মুদ্রিত মূল্য: ৭১৫৳
📖 বইটি সম্পর্কে কিছু কথা: জিজ্ঞেসা ও ফাতাওয়া প্রদান পদ্ধতি রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মাধ্যমে শুরু হয়। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শুরু করে আজ অবধি পনেরো-শো বছর ধরে প্রতিটি যুগের ইমাম ও আলিমগণ এ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মুসলিমরা যখনই দ্বীনী বা দুনিয়াবি কোনো সমস্যা ও ঘটনার সম্মুখীন হয়, তখনই সেই সমস্যা ও ঘটনার সমাধানের জন্য তারা আলিমদের দ্বারস্থ হয়।
ইমাম ইবন হাযম রাহিমাহুল্লাহ ১৪২ পুরুষ সাহাবী ও ২০ জন মহিলা সাহাবীর কথা উল্লেখ করেছেন, যারা ফাতাওয়া প্রদান করতেন। সাহাবীদের পর অসংখ্য তাবিয়ী ফাতাওয়া প্রদান করেন। তবে তাদের মাঝে সাত জন ফাতাওয়া প্রদানের সর্বাধিক প্রসিদ্ধিতা লাভ করেন।
তাদের পরবরর্তীতে ইমাম আবূ হানীফা, ইমাম মালিক, ইমাম শাফিয়ী, ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বাল, ইমাম বুখারী, ইমাম ইবন আবী হাতিম, ইমাম নববী, শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়্যাহ, ইমাম ইবন হাজার আসকালানী, ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী, ইমাম শাওকানী, ইমাম শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী, ইমাম মিয়া নাযীর হুসাইন দেহলভী, ইমাম শাহ ইসমাঈল রাহিমাহুমুল্লাহ-এর মতো মহৎপ্রাণগণের আগমন ঘটে।
এরই ধারাবাহিকতায় বিংশ ও একবিংশ শতকের একজন মহৎপ্রাণের নাম হচ্ছে ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী রাহিমাহুল্লাহ। তাকে নতুন করে পরিচয় করানোর কিছুই নেই। বরং ‘আলবানী’ একটি তারকা। যে তারকা সবার কাছে পরিচিত। হাদীসশাস্ত্রে গগনস্পর্শী অবদান এবং এ শাস্ত্রে নতুন করে প্রাণসঞ্চার করার কারণে তিনি কিয়ামত পর্যন্ত মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন, ইনশাআল্লাহ।
ইমাম আলবানী রাহিমাহুল্লাহ-এর অবদান শুধু হাদীসশাস্ত্রে সীমাবদ্ধ ছিল না; বরং আকীদা, মানহাজ, ফিকহ ও আধুনিক নানান বিষয়ে তার অবদান ছিলো শীর্ষস্থানে। তিনি আকীদা, মানহাজ ও ফিকহ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে যেসব ফাতাওয়া দেন এবং জ্ঞানের সাক্ষরতা রেখে যান, তা বর্তমানে প্রায় ৪০ খণ্ডে প্রকাশিত।
ইমাম আলবানী রাহিমাহুল্লাহ হাদীসশাস্ত্রে যে বিরাট অবদান রেখেছেন, তা থেকে বাংলাভাষী মুসলিমরা উপকৃত হলেও তার আকীদা, মানহাজ ও ফিকহী অবদান থেকে বঞ্চিত রয়েছে। ইমাম আলবানী রাহিমাহুল্লাহ-এর হাদীসশাস্ত্রের বাইরেও অন্যান্য ইলমী ঝরনা থেকে বাংলাভাষী মুসলিমরা যেন উপকৃত হতে পারে, সে-লক্ষ্যের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ফিকহ কেন্দ্রিক ‘ফাতাওয়ায়ে আলবানী’ সংকলন।
❑ ফাতাওয়ায়ে আলবানীর অনেক বিশেষত ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তন্মেধ্যে অন্যতম হলো :
ক. প্রতিটি ফাতাওয়া কুরআন ও সহীহ হাদীস আলোকে প্রদত্ত।
খ. প্রায় প্রতিটি প্রদত্ত ফাতাওয়ায় বিভিন্ন ইমাম ও মাজহাবের অবস্থান উল্লেখকরণ।
গ. বিভিন্ন ইমাম ও মাজহাবের দলীল উল্লেখকরণ এবং তাদের দলীল বিশ্লেষণ।
ঘ. দলীল বিশ্লেষণ করার পর প্রাধান্য যোগ্য মত উল্লেখকরণ।
ঙ. ইমাম আলবানী রাহিমাহুল্লাহ যেহেতু একজন বিজ্ঞ মুহাদ্দিস ছিলেন। তাই তার ফাতাওয়ার আরেকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তিনি বিভিন্ন ইমাম ও মাজহাবের পক্ষে প্রদত্ত হাদীসগুলোর শুদ্ধতা ও অশুদ্ধতা নির্ধারণ করে থাকেন।
চ. ফাতাওয়া সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শাস্ত্রের মূলনীতি উল্লেখকরণ।
● মূল: শাইখ নাসিরুদ্দিন আলবানি (রাহি.)
● সংকলক ও অনুবাদক: উস্তায আব্দুল্লাহ মাহমুদ
● সম্পাদনা: ড. শহীদুল্লাহ খান মাদানী হাফিযাহুল্লাহ
● পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৫৫৬ পৃষ্ঠা
● সাইজ: ৫.৫ x ৮.৫ ইঞ্চি।
● কভারের ধরণ: হার্ড কভার
● মুদ্রিত মূল্য: ৭১৫ টাকা
● প্রকাশনী: বিলিভার্স ভিশন পাবলিকেশন্স।
📖 বইটি সম্পর্কে কিছু কথা:
মানহাজ হলো দীনী বিষয়সমূহ গ্রহণ করার ও বাস্তবায়ন করার পদ্ধতির নাম। দীনী প্রতিটি কাজে ও বিষয়ে মানহাজের তাৎপর্য ও গুরুত্ব অত্যধিক। মানহাজ যদি বাড়াবাড়ি ও শিথিলতা থেকে মুক্ত হয়ে মধ্যমপন্থি না-হয়, তাহলে বিচ্যুতি আবশ্যক। তাই একজন মুসলিমের জীবনে বিশুদ্ধ মধ্যমপন্থি মানহাজ অপরিহার্য। আর ইমাম আলবানী রাহিমাহুল্লাহ ছিলেন বিংশ শতাব্দীর বিশুদ্ধ মানহাজের কান্ডারি। বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ি মুক্ত বিশুদ্ধ মানহাজ উম্মাহর সামনে তুলে ধরতে তিনি ছিলেন অকুতভয়।
ইমাম আলবানী রাহিমাহুল্লাহ হাদীসশাস্ত্রে যে বিরাট অবদান রেখেছেন, তা থেকে বাংলাভাষী মুসলিমরা উপকৃত হলেও তার আকীদা, মানহাজ ও ফিকহী অবদান থেকে বঞ্চিত রয়েছে। ইমাম আলবানী রাহিমাহুল্লাহ-এর হাদীসশাস্ত্রের বাইরেও অন্যান্য ইলমী ঝরনা থেকে বাংলাভাষী মুসলিমরা যেন উপকৃত হতে পারে, সে-লক্ষ্যে কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করি। এর প্রথম পদক্ষেপ ছিল ফিকহ কেন্দ্রিক ‘ফাতাওয়ায়ে আলবানী’ সংকলন। আলহামদুলিল্লাহ ফাতাওয়ার সংকলনটি পাঠকদের কাছে আশাতীত গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে। ইনশাআল্লাহ তার ফাতাওয়ার সংকলন সামনে আরও কয়েক খণ্ডে প্রকাশ হবে। আর এর ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় পদক্ষেপ ‘মানহাজুস সালাফ’ নামক মানহাজ বিষয়ক এই গ্রন্থটি।
• মানহাজুস সালাফ সংকলন ও অনুবাদের ক্ষেত্রে অনুসৃত পদ্ধতি
১. ‘মানহাজুস সালাফ’ গ্রন্থটির অধিকাংশ আলোচনা শাইখ ড.শাদী ইবন মুহাম্মাদ ইবন সালিম আলে-নুমান সংকলিত ‘জামিউ তুরাসিল আল্লামা আলবানী ফিল মানহাজ’ গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
২. ইমাম আলবানী রাহিমাহুল্লাহ-এর আলোচনা কোনোরকম পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা ছাড়াই অনুবাদ করা হয়েছে। তবে দুএক জায়গায় পাঠকদের সুবিধার্থে হুবহু অনুবাদ না করে সংক্ষিপ্ত অথবা বৃদ্ধি করা হয়েছে। যেসব জায়গায় সংক্ষিপ্ত বা বৃদ্ধি করা হয়েছে, সেসব জায়গা টীকায় ‘পরিমার্জিত’ লিখে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে।
৩. টীকায় আয়াত ও হাদীসের যে উদ্ধৃতি উল্লেখ করা হয়েছে, তা আমার নিজের পক্ষ থেকে। টীকায় সকল হাদীসের হুকুম লাগানো হয়নি। কারণ, তিনি গ্রহণযোগ্য হাদীস ছাড়া দলীল গ্রহণ করতেন না। তবে দুএক জায়গায় প্রদত্ত মতামতকে শক্তিশালী করার জন্য তিনি দুর্বল হাদীস এনেছেন। সে-দুএকটি হাদীসের দুর্বলতা টীকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
৪. ইমাম আলবানী রাহিমাহুল্লাহ-এর আলোচনার পূর্বে ও পরে আমার পক্ষ থেকে যে-টীকা ও আলোচনা সংযোজন করা হয়েছে, তার শুরুতে মোটাদাগে ‘আমি বলবো’ উল্লেখ করে সেসব টীকা চিহ্নিত করা হয়েছে। পাঠকদের বিষয়টি খেয়াল রাখার পরামর্শ রইলো।
৩। শারহুল আকীদাহ আত-তাহাবিয়্যাহ
• মূল: ইমাম আবু জাফর আহমাদ বিন মুহাম্মাদ আত-তহাবী (রাহি:)
• ব্যাখ্যাকারগণ:
শাইখ নাসিরুদ্দিন আলবানি (রাহি.), শাইখ বিন বায (রাহি.), শাইখ মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল আযীয় ইবন মানি’ (রাহি.)
• অনুবাদ: উস্তায আব্দুল্লাহ মাহমূদ
• বইয়ের সাইজ : ৫.৫ x ৮.৫ ইঞ্চি
• কভারের ধরণ : পেপারব্যাক
• পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৪৮
• মুদ্রিত মূল্য: ২১৪ টাকা
• প্রকাশনী: বিলিভার্স ভিশন পাবলিকেশন্স।
📖 বইটি সম্পর্কে কিছু কথা:
‘আল-আকীদাহ আত-তহাবিয়্যাহ’ আকীদাহর একটি ঐতিহাসিক নাম ও উৎসগ্রন্থ। আকীদাহ বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত গ্রন্থ।
সহজেই বাংলাভাষীরা যাতে ‘আল-আকীদাহ আত-তহাবিয়্যাহ’ গ্রন্থটি অধ্যয়ন করতে পারে সেজন্য বইটির কলেবর ছোটো রাখা হয়েছে। বৃহৎ কলেবরের ব্যাখ্যাগ্রন্থ থেকে অনেকেই ফায়িদা নিতে পারে না। ফলে অনেকেই জরুরি ইলম থেকে দীর্ঘ সময় বঞ্চিত থাকেন।
এতে শাইখ মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানি রাহিমাহুল্লাহ, শাইখ ইবনু বায রাহিমাহুল্লাহ ও শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু মানি রাহিমাহুল্লাহ-র ব্যাখ্যাও যোগ করা হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ। সকল শ্রেণির পাঠক এই কিতাব থেকে উপকৃত হবেন। ইনশাআল্লাহ।
৪। ফিতনাতুত তাকফীর এবং মানবরচিত বিধানে ফয়সালার হুকুম
● মূল: শাইখ আলবানী, শাইখ ইবনু বায, শাইখ ইবনু উসাইমীন রাহিমাহুমুল্লাহ
● অনুবাদ: উস্তায আব্দুল্লাহ মাহমুদ
● কভারের ধরণ : পেপারব্যাক (আর্ট কার্ড)
● সাইজ: ৫.৫ x ৮.৫ ইঞ্চি।
● পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৪১৬ পৃষ্ঠা
● মুদ্রিত মূল্য: ১১০ টাকা
● প্রকাশনী: বিলিভার্স ভিশন পাবলিকেশন্স।
📖 বইটি সম্পর্কে কিছু কথা:
কেউ যদি কোনো মুসলিমকে কাফির আখ্যা দেয় আর ওই মুসলিম যদি কাফির না হয়, তাহলে যে কাফির আখ্যা দিবে সে কাফির হয়ে যাবে। যেহেতু অন্যকে কাফির আখ্যা দেওয়ার সঙ্গে নিজের কুফরীর অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে, সেহেতু এটি নিজের জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। তাই এ ব্যাপারে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক ও সাবধান থাকা অপরিহার্য। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, এ ব্যাপারে আমাদের মাঝে অপরিহার্য সতর্কতার স্থলে, শিথিলতা ও অসাবধানতাই পরিলক্ষিত হচ্ছে।
‘মুসলিমকে কাফির বলা’র ফিতনা একটি প্রাচীন ফিতনা। যা বর্তমান সময়েও খুবই প্রাসঙ্গিক। এখন পর্যন্ত ‘মুসলিম’দেরকে বিশেষ করে ‘মুসলিম শাসক’দেরকে কাফির বলা এক শ্রেণির বিদআতির নিত্যদিনের কর্ম। এক্ষেত্রে ‘আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী শাসন না করা, সে অনুযায়ী ‘ফয়সালা না দেওয়া’, ইত্যাদি কমন অভিযোগ আরোপ করে ‘তাকফীর’ বা ‘কাফির বলা’ হয়। এই ছোট্ট পুস্তিকাটিতে মুসলিমকে কাফির বলার ফিতনা, আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী শাসন ও ফয়সালা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে হকপন্থিদের অবস্থান বলিষ্ঠভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
Reviews
There are no reviews yet.