
বই: মানহাজুস সালাফ
◉ মূল: শাইখ নাসিরুদ্দিন আলবানি (রাহি.)
◉ সংকলক ও অনুবাদক: উস্তায আব্দুল্লাহ মাহমুদ
◉ সম্পাদনা: ড. শহীদুল্লাহ খান মাদানী হাফিযাহুল্লাহ
বই: মানহাজুস সালাফ
◉ মূল: শাইখ নাসিরুদ্দিন আলবানি (রাহি.)
◉ সংকলক ও অনুবাদক: উস্তায আব্দুল্লাহ মাহমুদ
◉ সম্পাদনা: ড. শহীদুল্লাহ খান মাদানী হাফিযাহুল্লাহ
মাল বা সম্পদ কী? হারাম মাল কী? হারাম উপায়ে অর্জিত বা প্রাপ্ত মালের বিধান কী? ইত্যাদি জীবনঘনিষ্ঠ বিষয়গুলো খুবই চমৎকার, বিস্তারিত ও দলীলসমৃদ্ধভাবে আলোচিত হয়েছে ইসলামি অর্থনীতির এই মৌলিক বইটিতে। দলীলের আলোকে শক্তিশালী মত প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। জীবনঘনিষ্ঠ, গুরুত্বপূর্ণ বইটি সকল মুসলিমের জন্য পড়া আবশ্যক।
আয়রোজগার হালাল হওয়া এবং হারাম বর্জন করা প্রতিটি মুসলিমের ওপর ওয়াজিব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সেই সত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! তোমাদের আল্লাহ যা হারাম করেছেন, এমন কিছু নিজ মুখে দেওয়ার চেয়ে মুখে মাটি দেওয়া অনেক ভালো। [আহমাদ, ৭৪৯০, সহীহ], সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, যে দেহ হারাম খাদ্য দিয়ে প্রতিপালিত হয়েছে, সে দেহ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। [আবূ ইয়ালা, ৭৮; হাসান]
হারাম বর্জনে আমাদের সালাফরা ছিলেন খুব খুব সতর্ক ও কঠোর। হাম্বলী মাযহাবের একজন বিখ্যাত আলিম ও ফকীহ ছিলেন ইবন হামিদ আল-ওয়াররাক। তিনি এক হজ্জের সফরে অত্যধিক পিপাসিত হয়ে পড়েন; এমনকী প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে যায়। এমন কঠিন অবস্থায় একজন অল্প কিছু পানি নিয়ে আসে। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করেন, এই পানি কোত্থেকে নিয়ে এসেছেন? সে বলে, আপনার এমন শোচনীয় পরিস্থিতিতেও এরকম প্রশ্ন করছেন! তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, ভাই। এমন অবস্থা প্রশ্ন করার সময়। এ সময়তো আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের সময়।’