Description
১। হারাম সম্পদের বিধান
আয়রোজগার হালাল হওয়া এবং হারাম বর্জন করা প্রতিটি মুসলিমের ওপর ওয়াজিব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সেই সত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! তোমাদের আল্লাহ যা হারাম করেছেন, এমন কিছু নিজ মুখে দেওয়ার চেয়ে মুখে মাটি দেওয়া অনেক ভালো। [আহমাদ, ৭৪৯০, সহীহ],
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, যে দেহ হারাম খাদ্য দিয়ে প্রতিপালিত হয়েছে, সে দেহ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। [আবূ ইয়ালা, ৭৮; হাসান]
হারাম বর্জনে আমাদের সালাফরা ছিলেন খুব খুব সতর্ক ও কঠোর। হাম্বলী মাযহাবের একজন বিখ্যাত আলিম ও ফকীহ ছিলেন ইবন হামিদ আল-ওয়াররাক। তিনি এক হজ্জের সফরে অত্যধিক পিপাসিত হয়ে পড়েন; এমনকী প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে যায়। এমন কঠিন অবস্থায় একজন অল্প কিছু পানি নিয়ে আসে। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করেন, এই পানি কোত্থেকে নিয়ে এসেছেন? সে বলে, আপনার এমন শোচনীয় পরিস্থিতিতেও এরকম প্রশ্ন করছেন! তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, ভাই। এমন অবস্থা প্রশ্ন করার সময়। এ সময়তো আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের সময়।’
মাল বা সম্পদ কী? হারাম মাল কী? হারাম উপায়ে অর্জিত বা প্রাপ্ত মালের বিধান কী? ইত্যাদি জীবনঘনিষ্ঠ বিষয়গুলো খুবই চমৎকার, বিস্তারিত ও দলীলসমৃদ্ধভাবে আলোচিত হয়েছে ইসলামি অর্থনীতির এই মৌলিক বইটিতে। দলীলের আলোকে শক্তিশালী মত প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। জীবনঘনিষ্ঠ, গুরুত্বপূর্ণ বইটি সকল মুসলিমের জন্য পড়া আবশ্যক।
২। শারহুল আকীদাহ আত-তাহাবিয়্যাহ
‘আল-আকীদাহ আত-তহাবিয়্যাহ’ আকীদাহর একটি ঐতিহাসিক নাম ও উৎসগ্রন্থ। আকীদাহ বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত গ্রন্থ।
সহজেই বাংলাভাষীরা যাতে ‘আল-আকীদাহ আত-তহাবিয়্যাহ’ গ্রন্থটি অধ্যয়ন করতে পারে সেজন্য বইটির কলেবর ছোটো রাখা হয়েছে। বৃহৎ কলেবরের ব্যাখ্যাগ্রন্থ থেকে অনেকেই ফায়িদা নিতে পারে না। ফলে অনেকেই জরুরি ইলম থেকে দীর্ঘ সময় বঞ্চিত থাকেন।
এতে শাইখ মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানি রাহিমাহুল্লাহ, শাইখ ইবনু বায রাহিমাহুল্লাহ ও শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু মানি রাহিমাহুল্লাহ-র ব্যাখ্যাও যোগ করা হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ। সকল শ্রেণির পাঠক এই কিতাব থেকে উপকৃত হবেন। ইনশাআল্লাহ।
৩। লুকমান হাকীমের দারসে
কুরআনে বর্ণিত অবাক করা ও রহস্যময় চরিত্রগুলোর একটি হলো- লুকমান হাকীম। আল্লাহ তাকে অনন্য হিকমত দিয়ে অলংকৃত করেছিলেন। কুরআনে তার প্রজ্ঞায় ভরা কথামালার বর্ণনা এসেছে। লুকমান হাকীমের পরিচয় নয় বরং কুরআনে তার হিকমতপূর্ণ ঘটনাগুলোতে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে।
ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে লুকমান হাকীমের এসব ঘটনার বিশ্লেষণ আমাদের সামনে বিভিন্ন আঙ্গিকের চিন্তার খোরাক জোগায়। লুকমান হাকীমের ঘটনায় কুরআনের বর্ণনাভঙ্গির দিকে তাকালে আমরা আশ্চর্য হবো- কত সাবলীলভাবে তিনি শেখাচ্ছেন সবকিছু। এই বইটি সেসব চিন্তার খোরাক ও শিক্ষা নিয়েই। বর্তমান সময়ের সম্মানিত আলিম শাইখ আব্দুর রাযযাক আল-বদর হাফিযাহুল্লাহ এই বইয়ে লুকমান হাকীমের ঘটনাগুলো থেকে পাওয়া অনেক ধরনের শিক্ষা এনেছেন।
বইটির আদ্যোপান্ত জুড়েই আছে আদর্শ ইসলামি জীবন গঠনের জন্য সুন্দর উপদেশমালা।
৪। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ -এর মাধ্যমে জীবন সুসজ্জিত হোক
তাওহীদের বাক্য- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। মুসলিম জীবনটাই হলো তাওহীদের বাস্তবায়ন ক্ষেত্র। মুসলিমের অন্তর, জবান, সর্বাঙ্গের কাজে তাওহীদ বাস্তবায়িত হয়। অবুঝ নবজাতকের কান থেকে শুরু করে মৃত্যুপথযাত্রীর কানে তাওহীদের বার্তাই পৌঁছানো হয়। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মসনদ পর্যন্ত, সব জায়গায়, সকল ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করতে হয় তাওহীদের। শাইখ সালিম আত-তাওয়ীল হাফিযাহুল্লাহ দৈনন্দিন জীবনের ২৭টি স্থান তুলে ধরেছেন, যেখানে আমরা তাওহীদের কালিমা পাঠ করি। আমরা যেন এই কালিমার দাবি ও অঙ্গীকার পালনে আরও যত্নবান হই, সেটাই স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
Reviews
There are no reviews yet.